অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা তুলে দেওয়া হলো। এখন থেকে যতবার খুশি ততবার লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহক। এতদিন এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি দৈনিক সর্বোচ্চ ১০টি এবং প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ২০টি লেনদেন করতে পারত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে লেনদেনে সংখ্যার সীমা প্রত্যাহার করেছে। তবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দৈনিক ও একক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা আগের অবস্থায় রয়েছে।
গত বছরের ৩০ জুন এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন বা ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থায় ব্যক্তির ক্ষেত্রে দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের বেলায় তা ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে।
অন্যদিকে ব্যক্তি গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা লেনদেন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠান একবারে পাঁচ লাখ টাকার লেনদেন করতে পারে, যাকে একক লেনদেন বলা হয়। লেনদেনের পরিমাণের এ সীমা অপরিবর্তিত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে অনলাইনে বা ইন্টারনেটে একই ব্যাংকের এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের সর্বোচ্চ সীমা ব্যাংক তার স্বীয় ঝুঁকি এবং গ্রাহকের লেনদেনের ইতিহাস বিবেচনায় নিজেই নির্ধারণ করবে। আগে এ সীমা নির্ধারণ করা ছিল না।
সার্কুলার অনুযায়ী অনলাইন বা ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পণ্য বা সেবামূল্য পরিশোধ বা আদায় (ই-কমার্সসহ), ইউটিলিটি বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে এক ব্যাংক হিসাব থেকে অন্য ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে ই-কমার্সের পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ বা আদায় জনসাধারণের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এ ধরনের লেনদেন পদ্ধতি সহজ ও নিরাপদ করার জন্য অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের সীমাও পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।